খান জাহান আলীর নামের সংগে সংযুক্ত।
কথিত আছে খান জাহান আলী "বার বাজার " হয়ে গোড় থেকে হেটে গিয়েছিলেন। এখানে অনেক প্রাচীন ঢিবি ও দীঘি আছে। এখানে সুলতান আলাউদ্দিন হোসাইন শাহের আমলের একখানা শিলালিপি অবস্থিত হয়েছিল। এখন ইহা রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। সেই শিলালিপি অনুযায়ী হোসাইন শাহের আমলের জনৈক মুহাম্মদের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল "বার বাজার "।

আরও বলা হয় যে, রাজ্য মান সিংহের একজন অনুরাগী রাজ্য রামচন্দ্র খানের প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল "বার বাজার"। সম্ভবতঃ ভৈরব নদীর তলদেশে পলি পড়ার কারনে কালক্রমে ইহা ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং এই শহরের পতনের আরও একটি কারণ হচ্চে বাংলার স্বাধীন সুলতানের পতন।
       পরবর্তীকালে নদীর পলি পতন "বার বাজার " এর চারি পার্শ্বে একটি বিলুয়া ভূমির সৃষ্টি করতে যেরূপ সুতি কুটির বিলুয়া ভূমির কারনে গোড়ে মহামারী ঘটে ছিল তদ্রুপ "বার বাজার " এর চারি পার্শ্বের বিলুয়া ভূমি ও এখানে মহামারী ঘটায়। আরও উল্লেখ্য যে, পৌরাণিক বৈরাট নগর (বর্তমানে বেলাট দৌলতপুর মৌজা) হিসাবে "বার বাজার " পরিচিত ছিল। বারটা বাজারের জন্যও "বারো বাজার " বিখ্যাত ছিল। অথবা বার জন আওলিয়ার নামনুসারে ইহার নামকরণ হয় "বার বাজার "। সংখ্যা ১২ কে বাংলার "বার " বলা হয়। যথাঃ-
আয়েত খাঁ, আবদান খাঁ, দৌলত খাঁ, রহমত খাঁ, শমশের খাঁ, মুরাদ খাঁ, হৈবত খাঁ, নিয়াজ মন্দ খাঁ, সৈয়দ খাঁ, গনিমত খাঁ, বিলায়েত খাঁ, শাহবত খাঁ।
রুপ কথার গাজী কালুর জন্যও ইহা বিখ্যাত।

অঞ্চলের বর্ণনাঃ
"বার বাজার " এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম আছে।
যথাঃ- বার বাজার, সাদিকপুর, বেলাট দৌলতপুর, সাতগাছিয়া, মিঠাপুকুর, ফুলপাড়ী, বাদে ডিহি, রহমতপুর, গৌরিনাথপুর ও কাষ্টভাংগা।
বার বাজার অনেক ঢিবি ও দিঘী আছে। অধিকাংশ  এলাকা ঐ নামের সাথে সংযুক্ত।
দিঘি গুলির কয়েকটি হচ্ছেঃ-
পীর পুকুর, গোড়ার পুকুর, সাতপীরের পুকুর, ভাইবোনের দিঘী, আনন্দ পুকুর, গলাকাটা দিঘী, জোড়বাংলা দিঘী, চেরাগদানী দিঘী, সাতরানী দিঘী, নুনগলা দিঘী, কানাই দিঘী, পাঁচপীরের দিঘী, মোনহর দিঘী, আদিনা দিঘী ও শ্রীরাম রাজার বেড় দিঘী।  এগুলি ছাড়াও "বার বাজার " আরও শতাধিক প্রাচীন পুকুর আছে। "বার বাজারের " প্রাচীন নিদর্শন সমূহের মধ্যে (সাদিকপুর মসজিদ ও গোড়ার মসজিদ )
সর্বপ্রথম পন্ডিতদের দৃষ্টিতে আসে। 
Theme images by Flashworks. Powered by Blogger.