আগামী নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাবন হবে।

বুধবার ব্রিটিশ অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চার এমপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব িএহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


শেখ হাসিনা বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন অনেকটা স্বাধীন।


"আমরা আপনার ওয়েস্টমিনস্টার গণতন্ত্র অনুসরণ করি," তিনি বলেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।


প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অতীতে সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে।


তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ওপাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ এমপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।


তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


সরকার প্রধান বলেছেন যে শস্য, প্রয়োজনীয় পণ্য এবং ভোজ্য তেল ইউক্রেন থেকে আসত। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এসব পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে এসব জিনিসের দাম বাড়ছে।


প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের সারা দেশে 100টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগরে আহ্বান জানান।

"আমরা সেখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাব," তিনি বলেন।


ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উন্নয়নের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।


প্রেস সচিব বলেন, “তিনি বিশেষ করে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু এবং বঙ্গবন্ধু টানেলসহ সংযোগ উন্নয়নের প্রশংসার করেছেন।”

বাংলাদেশের উন্নয়নে এসব অবকাঠামো খুবই সহায়ক হবে বলে মনে করেন সংসদ সদস্যরা।

ব্রিটেনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়।


তিনি উল্লেখ করেন যে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।


তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।

এহসানুল করিম বলেন, ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি ব্রিটিশ সহায়তার প্রশংসা করেন।


তিনি বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আন্তরিক এবং নিজস্ব সম্পদ থেকে অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।


এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিকভাবে ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ, উপকূলীয় এলাকায় বৃক্ষ রোপণ এবং বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু করেন।


শেখ হাসিনা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কমনওয়েলথ অব নেশনস এর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তিনি সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।


রাষ্ট্রদূত এম. জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজল হোসেন মিয়া ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিক্সন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Theme images by Flashworks. Powered by Blogger.