তিন দিয়ে নবী (সাঃ) এর বাণী কি কি বলেছেন? তিন প্রকার, তিনটি জিনিস, তিন মর্যাদা, তিন বিষয় এমন বিষয় সর্ম্পকে আলোচনা হাদিস দ্বারা

 عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فُضِّلْنَا عَلَى النَّاسِ بِثَلَاثٍ جُعِلَتْ صُفُوْفُنَا كَصُفُوْفِ الْمَلَائِكَةِ وَجُعِلَتْ لَنَا الْاَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدًا وَّجُعِلَتْ تُرْبَتُهَا لَنَا طَهُوْرًا إِذَا لَمْ نَجِدِ الْمَاءَ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

হুযায়ফাহ্ (রাঃ)

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সকল মানুষের উপর তিনটি বিষয়ে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে। (১) আমাদের (সলাতের) কাতারকে মালায়িকার সারির মত মর্যাদা দেয়া হয়েছে। (২) সমস্ত পৃথিবীকে বানানো হয়েছে আমাদের সলাতের স্থান এবং (৩) মাটিকে করা হয়েছে আমাদের জন্য পবিত্রকারী, যখন আমরা পানি পাবো না। [১]

মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৫২৬




‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাঃ) বলেছেন: সুলাইমান ইবনু দাঊদ বাইতুল মাকদিস মাসজিদের কাজ সম্পন্ন করে আল্লাহর কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেন: আল্লাহর বিধানের অনুরূপ সুবিচার, এমন রাজত্ব যা তার পরে আর কাউকে দেয়া হবে না, এবং যে ব্যক্তি বাইতুল মুকাদ্দাসে শুধুমাত্র সলাত আদায়ের জন্য আসবে, সে তার গুনাহ্ হতে সদ্য প্রসূত সন্তানের মত নিস্পাপ অবস্থায় বের হবে। অতঃপর নাবী (সাঃ) বলেন: প্রথম দু’টি তাঁকে দেয়া হয়েছে। আর আমি আশা করি তৃতীয়টি আমাকে দান করা হবে।

ফুটনোটঃ

হাদীস সহীহ : ইবনু মাজাহ্ হা/১৪০৮- হাদীসের শব্দাবলী তার, নাসায়ী, আহমাদ হা/৬৬৪৪, ইবনু খুযাইমাহ হা/১৩৩৪, ইবনু হিব্বান হা/৪৪২০, মুস্তাদরাক হাকিম হা/৩৬২৪, তা’লীকুম রাগীব ২/১৩। আল্লামা বুসয়রী ‘মিসবাহুয যুজাজাহ’ গ্রন্থে হা/৫০২, এবং ডক্টর মুস্তফা আ’যমী ইবনু খুযাইমাহর তাহক্বীক্বে বলেন : সানাদ যঈফ।

শায়খ আলবানী বলেন : মুসনাদ আহমাদ ও অন্যত্র এর ভিন্ন একটি সহীহ সানাদ রয়েছে। ইমাম হাকিম বলেন : বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ, এর কোন ক্রটি আছে বলে জানা নেই। ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। শু’আইব আরনাউত্ব ইবনু হিব্বান ও আহমাদের তাহক্বীক্ব গ্রন্থে বলেন : সানাদ সহীহ। শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে : “বাইতুল মাকদিসে সলাত আদায়ের মর্যাদা মাসজিদে নাববীর সলাতের এক চতুর্থাংশ।” (বায়হাক্বী- সহীহ সানাদে। দেখুন, শায়খ আলবানী প্রণীত ‘তাহজীরুল সাজিদ’- হাদীসের শব্দ তার থেকে গৃহীত) 

সহিহ ফাযায়েলে আমল, হাদিস নং ১৪৮


حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرٌو، وَابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ: أَسْتَأْذِنُ عَلَى أُخْتِي؟ فَقَالَ: نَعَمْ، فَأَعَدْتُ فَقُلْتُ: أُخْتَانِ فِي حِجْرِي، وَأَنَا أُمَوِّنُهُمَا وَأُنْفِقُ عَلَيْهِمَا، أَسْتَأْذِنُ عَلَيْهِمَا؟ قَالَ: نَعَمْ، أَتُحِبُّ أَنْ تَرَاهُمَا عُرْيَانَتَيْنِ؟ ثُمَّ قَرَأَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِيَسْتَأْذِنْكُمُ الَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ} [النور: 58] إِلَى {ثَلَاثُ عَوْرَاتٍ لَكُمْ} [النور: 58] ، قَالَ: فَلَمْ يُؤْمَرْ هَؤُلَاءِ بِالْإِذْنِ إِلَّا فِي هَذِهِ الْعَوْرَاتِ الثَّلَاثِ، قَالَ: {وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنْكُمُ الْحُلُمَ} [النور: 59] ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَالْإِذْنُ وَاجِبٌ. زَادَ ابْنُ جُرَيْجٍ: عَلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ


আতা (র) থেকে বর্ণিতঃ:

আমি ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করে বললাম, আমি কি আমার বোনের নিকটও প্রবেশানুতি প্রার্থনা করবো? তিনি বলেন, হাঁ। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করে বললাম, আমার প্রতিপালনাধীনে আমার দু’টি বোন আছে, আমিই তাদের পৃষ্ঠপোষক (নিরাপত্তা দানকারী) এবং আমিই তাদের ভরণপোষণ করি, আমি কি তাদের নিকটও প্রবেশানুমতি চাইবো? তিনি বলেন, হাঁ। তুমি কি তাদেরকে উলঙ্গ দেখতে পছন্দ করবে? অতঃপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পড়েন (অনুবাদ) : “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মালিকনাধীন দাস-দাসী এবং তোমাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানেরা তিনটি সময়ে যেন তোমাদের নিকট প্রবেশানুমতি প্রার্থনা করেঃ ফজরের নামাযের পূর্বে, দুপুরের সময় যখন তোমরা পোশাক খুলে রেখে দাও এবং এশার নামাযের পর। তোমাদের তিনটি পর্দা করার সময়” (সূরা নূর : ৫৮)। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, পর্দার এই তিন সময়ই তাদেরকে অনুমতি প্রার্থনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, “তোমাদের শিশুরা প্রাপ্তবয়সে পৌছলে অবশ্যই (সব সময়) অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবে, যেমন তাদের প্রবীণরা অনুমতি নিয়ে আসে” (সূরা নূর : ৫৯)। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, অতএব অনুমতি প্রার্থনা করা বাধ্যতামূলক। ইবনে জুরাইজের বর্ণনায় আরো আছে, সকল লোকের জন্য। (তাফসীর ইবনে কাসীর)

আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১০৭৩



حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو رَافِعٍ إِسْمَاعِيلُ بْنُ رَافِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، عِنْدِي دِينَارٌ؟ قَالَ: «أَنْفِقْهُ عَلَى نَفْسِكَ» ، قَالَ: عِنْدِي آخَرُ، فَقَالَ: " أَنْفِقْهُ عَلَى خَادِمِكَ - أَوْ قَالَ: عَلَى وَلَدِكَ "، قَالَ: عِنْدِي آخَرُ، قَالَ: «ضَعْهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَهُوَ أَخَسُّهَا» 

---

[قال الشيخ الألباني] : 

صحيح لغيره دون قوله (ضعه. .)


জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কাছে একটি দীনার আছে। তিনি বলেনঃ তা তুমি নিজের জন্য খরচ করো। সে বললো, আমার কাছে আরো একটি দীনার আছে। তিনি বলেনঃ তা তোমার খাদেমের জন্য বা সন্তানের জন্য খরচ করো। সে বললো, আমার কাছে আরো একটি আছে। তিনি বলেনঃ তা আল্লাহর পথে রেখে দাও। আর তা হচ্ছে সর্বনিকৃষ্ট দীনার। (আবু দাউদ, নাসাঈ, আহমাদ; আবু হুরায়রা সূত্রে)

আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৭৫৫



حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " ثَلَاثُ دَعَوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٍ: دَعْوَةُ الْمَظْلُومِ، وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ، وَدَعْوَةُ الْوَالِدِ عَلَى وَلَدِهِ "


আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাঃ) বলেন তিনটি দেয়া অবশ্যই কবুল হয়। (১) উৎপীড়িতের দোয়া, (২) মুসাফিরের দোয়া এবং (৩) সন্তানের জন্য পিতার দোয়া (ইবনে মাজাহ)।

আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৪৮৩


حَدَّثَنَا عَلِيٌّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى الْفُضَيْلِ: عَنْ أَبِي حَرِيزٍ، أَنَّ الْحَسَنَ حَدَّثَهُ بِوَاسِطَ، أَنَّ صَعْصَعَةَ بْنَ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ لَقِيَ أَبَا ذَرٍّ مُتَوَشِّحًا قِرْبَةً، قَالَ: مَا لَكَ مِنَ الْوَلَدِ يَا أَبَا ذَرٍّ قَالَ: أَلَا أُحَدِّثُكَ؟ قُلْتُ: بَلَى، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ لَهُ ثَلَاثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ، إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمْ» 

«وَمَا مِنْ رَجُلٍ أَعْتَقَ مُسْلِمًا إِلَّا جَعَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ كُلَّ عُضْوٍ مِنْهُ، فِكَاكَهُ لِكُلِّ عُضْوٍ مِنْهُ»


সাসাআ ইবনে মুয়াবিয়া (র) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আবু যার (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করলেন। আবু যার (রাঃ) একটি মশক জড়িয়ে ধরা অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, হে আবু যার! আপনার সন্তানের কী প্রয়োজন! তিনি বলেন, আমি তোমাকে হাদীস শুনাবো না? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে মুসলমানের তিনটি সন্তান নাবালেগ অবস্থায় মারা যায়, তাদের প্রতি তার মায়ার কারণে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে দাসত্বমুক্ত করবে, মহামহিম আল্লাহ তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গের বিনিময়ে তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মুক্তি দিবেন।

আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ১৪৯








No comments

Theme images by Flashworks. Powered by Blogger.